একটি আদর্শ রুটিন বাঙ্গালিদের জীবনে অপরিহার্য বিষয়। আপনি আপনার খাদ্যাভাস ঠিক করতে না পারলে কোনভাবেই সুস্থ থাকার কথা চিন্তাও করতে পারবেন না। মুখরোচক ও তেলযুক্ত বাঙ্গালিয়ানা খাবার আপনাকে হয়তো কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ আনতে দেয় না কিন্তু সব রকমের খাবারের তৃপ্তি নিয়েও হিসেব মতো আপনি ভালো থাকতে পারবেন। তবে আসুন জেনে নিই সুস্থ থাকার কিছু টিপস যা খাবারের গ্রহণের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন অনায়াসে।
১) ফল দিয়ে দিন শুরু করুনঃ
ফল দিয়ে দিন শুরু করার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরকে রোগব্যাধি থেকে রক্ষা করতে বেষ্টনী তৈরি করবেন। আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। প্রাকৃতিক এমন সুন্দর খাবার ফল যা আপনার মনে দেবে প্রশান্তি এবং ইমিউনিটি শক্তির বিরাত একটা উৎস হিসেবে কাজ করবে।
২) সপ্তাহে ১ হালি ডিম খাওয়া নিরাপদ ও উপকারীঃ
ডিমের উপকারিতা অনেক। প্রতিদিন সামান্য পরিমান ডিম আপনার ক্ষুধা নিবারণের জন্য যথেষ্ট। সুপারফুড ডিম খাওয়ার মাধ্যমে আপনি শারীরিক সমস্ত দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সমর্থ হবেন।
৩) দুপুরের খাবারে ভাত এবং শাক-সবজির পরিমাণ সমান রাখুনঃ
দুপুরে আপনি ভাত ২০০ গ্রাম পরিমাণ নিলে শাক-সবজি সমপরিমাণ অথবা সামান্য বাড়িয়েও নিতে নিতে পারেন। শরীর ব্যাথা, ডায়াবেটিস আপনার ধারের কাছেও ঘেঁষতে সুযোগ পাবে না। মূলত শাক-সবজি শরীরের বর্জ্য পরিষ্কার করতে সহায়তা করে কিন্তু আমরা প্রতিদিন শাক-সবজি না খাওয়ার ফলে আমাদের মৃত্যুঝুঁকির হার বাড়ছে।
৪) শারীরিক গ্রোথকে স্বাভাবিক রাখতে খাবারের রুটিনে প্রোটিনের উৎস মাছ-গোশত পরিমিত পরিসরে রাখুনঃ
লাল গোশত সপ্তাহে ১ দিন এবং সাদা গোশত ২ দিন ও মাছ অবশ্যই ৩ দিন থাকতে হবে। এতে করে আপনার হাড়, ত্বক ও মস্তিষ্কের বিকাশ হবে পুরোপুরিভাবে। আপনার ওজনের উপর নির্ভর করে ৮০-১০০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ আপনাকে মেদহীন সুস্থ জীবনযাপনে সহায়তা করবে।
৫) রাতে খাবারের তালিকায় কোন কিছু না থাকলেও দুধ থাকতে হবেঃ
একজন শিশুর যেমন দুধের বিকল্প কিছু নেই। আমরা যারা তরুন, প্রাপ্তবয়স্ক কিংবা বৃদ্ধ সবারই দুধের বিকল্প বিকল্প বলতে কিছু হওয়া উচিৎ না। দুধ আপনাকে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যকর অধ্যায় ঘুম আনতে সাহায্য করে।