আপনি হতে পারেন একজন ডাক্তার, একজন ইঞ্জিনিয়ার কিংবা ব্যবসায়ী কিন্তু খাবার গ্রহণের পদ্ধতিতে সবার মাঝে একটি সাধারণ নিয়ম আছে বললে ভুল হবে না। আমাদের দেহচক্রকে ঠিক রাখতে ঘুম এবং খাবারের ভূমিকা অনেক। আপনি যদি এইসব নিয়ম অনুসরণ না করেন শারীরিক এবং মানসিকভাবে আপনি যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন তা নিম্নে উল্লেখ করছি –

Intermittent fastin concept – empty plate on blue background, copy space

১) খাবার গ্রহণে সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবেঃ
সকালের খাবার দুপুর গড়িয়ে বিকালে আর রাতের খাবার মাঝরাতে খাচ্ছেন। এই মূহুর্তে কোন কিছু দৃষ্টিগোচর না হলেও বয়স যখন চল্লিশ পেরোবে তখন আপনি আপনার শরীরে দূর্বলতা অনুভব করবেন। বয়স হওয়ার আগেই বৃদ্ধ হয়ে যাবেন। আপনার পাকস্থলীতে এসিড সৃষ্টি হবে। ফলে হজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার হতে পারে। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্যান্য পাকস্থলী সমস্যা থেকেই পরবর্তিতে পরে বড় কোন রোগ হতে পারে এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে।

২) অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবেঃ
জন রে একজন প্রকৃতিবিদ ও উদ্ভিদবিদ। তিনি বলেন, “আনন্দ সহকারে পরিমাপ করে খাও। কারন অত্যাধিক খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।“ অতিরিক্ত খাবার খেলে মূল সমস্যা হলো ডায়াবেটিস এবং ব্লাড প্রেসার। আরেকটি গুরুতর সমস্যা হলো প্যারালাইসিস। রক্তবাহী শিরাগুলো সংকোচনের ফলে এক ধরনের অনুভূতিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বছরে প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব খাদ্যাভাস পরিবর্তনের মাধ্যমে।

৩) শরীরভেদে পর্যাপ্ত পানি পান করার গুরুত্ব বাস্তবায়ন করতে হবেঃ
পানি পানে কম অথবা বেশি উভয়ই আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে। তাই আপনার ওজন অনুযায়ী পানি পানের মাত্রা নির্ধারন করা উচিৎ। কম পানে পানি হঠাৎ করেই উচ্চ এবং নিম্ন রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। পানির অভাবে শ্বাস কষ্টের পাশাপাশি মুখে দূর্গন্ধ হয়। অতিরিক্ত পানি পানের ফলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটগুলো পাতলা হয়ে যায় ফলে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায়। এর ফলে মাথা ব্যাথা, খিচুনি, অজ্ঞান হওয়ার মতো নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়।